বৃহস্পতিবার ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাছতলা বা শিক্ষার্থীদের বাড়িতে নয়, বিদ্যালয়ে ফিরতে চান প্রাথমিক শিক্ষকরা

  |   বুধবার, ০২ জুন ২০২১ | প্রিন্ট

গাছতলা বা শিক্ষার্থীদের বাড়িতে নয়, বিদ্যালয়ে ফিরতে চান প্রাথমিক শিক্ষকরা

করোনাকালীন কোমল মতি শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পুষিয়ে নিতে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিষণ, বাংলাদেশ বেতার , অনলাইন স্কুলিং ও গুগলমিটে অনলাইন পাঠদানের পাশাপাশি ১ম-৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওয়ার্কশীট বিতরণ করছেন সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকরা।এছাড়াও কোন কোন শিক্ষক নিজ নিজ ক্যাচমেট এরিয়াতে গুচ্ছ পদ্ধতিতেও অফলাইনে পাঠদান করাচ্ছেন। বিষয়টি কিছু শিক্ষকের জন্য সহজ হলেও অনেক শিক্ষকের জন্য কষ্টকর বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠ শিক্ষকরা।কেও কেও বিভিন্নভাবে অভিমতও ও সোশ্যাল মিডিয়াতে মনের কষ্টের কথাও তুলে ধরছেন।চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ৯৭ নং ফরাজিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহনাজ আখতার  গত ৩০শে মে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে তেমনি একটা পোষ্ট দিয়ে মনের কষ্টের কথা তুলে ধরেছেন।শিক্ষার আলোর পাঠকদের জন্য পোষ্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো।

“চাকুরিতে যোগদান করেছি বিদ্যালয়ে পাঠদান করানোর জন্য। করোনা নিয়ে গেলো অনলাইনে। এখন আবার সেই করোনা নিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীর বাড়ি ও গাছতলায়। তাহলে বিদ্যালয় ভিত্তিক এতো এতো বরাদ্দ ও উন্নয়নের কী দরকার ছিলো? আমি বিদ্যালয়ে ফিরতে চাই, গাছতলা বা শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে নয়।”


শাহনাজ আখতারের পোষ্টের পর রীতিমতো শিক্ষকরা নানা মন্তব্য করা শুরু করেছেন এবং নিজ অবস্থান তুলে ধরেছেন।পক্ষে- বিপক্ষে যার যার মত ব্যক্ত করেন নেটিজেনরা।

শহিদুল ইসলাম নামে একজন মন্তব্য করেন, অনলাইন, গাছতলা, বাঁশতলা কখনোই মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা হতে পারেনা।তাই যত তারাতারি সম্ভব বিদ্যালয়ে ফিরে আসাটাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।


আতিকুল ইসলাম মিলন নামে একজন মন্তব্য করেন, আমরাও বিদ্যালয়ে ফিরতে চাই। যারা অনলাইনে যোগ দিতে পারে তারা এমনিতেই মেধাবী কিন্তু যারা অনলাইনে যোগ দিকে পারেনা তাদের কি হবে।এভাবে সবাইকে শিক্ষাদানের সম্ভাবনা খুব বেশিনা।

সুজিত মিত্র নামে একজন মন্তব্য করেন, এমন কথা কোন শিক্ষক তো দুরে থাক কোন শিক্ষিত লোকের কথা হতে পারেনা। করোনা যে কতকিছু শিখিয়ে গেল তাতে ও তো কিছু শেখার উচিৎ ছিল।আশা করি পরিবেশ, পরিস্থিতি বুঝে চলবেন। বেশী উতলা বা চালাকি র ফল ভাল হয় না।


আজ হয়ত বেশী ভাবের উদ্ভব হোল আবার তা কিন্তু থাকবে না।
শহিদুল ইসলাম নামে একজন মন্তব্য করেন, আলহামদুলিল্লাহ, তাহলে এখন বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য মন ব্যকুল হচ্ছে,,আর তো মাত্র কয়েকদিন আপনাদের এ ব্যকুলতার জন্যই সরকার স্কুল খুলে দিবে,,,
তবে মতামত যাইহোক অধিকাংশ শিক্ষক ও অভিভাবক আশা করেন সরকার পরিস্থিতি অনুকুলে এলে অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিবেন। কারণ আর যাইহোক সুনির্দিষ্ট স্থানছাড়া আসলে সকল শিক্ষার্থীর মাঝে পাঠদান করা খুবই অসম্ভব।
Facebook Comments Box

Posted ৮:০০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০২ জুন ২০২১

শিক্ষার আলো ডট কম |

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
অফিস

চৌগাছা, যশোর-৭৪১০

হেল্প লাইনঃ 01644-037791

E-mail: shiksharalo.news@gmail.com